সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেছেন, নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল এবং প্রিন্ট পত্রিকার নিবন্ধিত ভার্সন ছাড়া অন্য কেউ মোবাইলে লাইভ সম্প্রচার করতে পারবে না। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বিরোধী কোন কাজ কাউকে করতে দেয়া হবেনা। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ,এটি আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য নষ্ট করতে কোন ধরণের ষড়যন্ত্র বা গুজব বরদাস্ত করা হবেনা।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের মিলনায়তনে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা যাতে নিরাপদ এবং উৎসবমুখর হয় সে লক্ষে প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করবে। তিনি বলেন, যে কোন পরিস্থিতিতে কেউ আইন হাতে তুলে নিবেন না। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে তাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ সম্ভব সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহন করবে। এক্ষেত্রে আমরা আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবো। আমি এমন একটা বাংলাদেশ চাই যেখানে কোন ধরণের নিরাপত্তা ছাড়াই ধর্মীয় উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশে পালন করা হবে।
এসময় আরে বক্তব্য রাখেন, রামকৃষ্ণ মিশন সিলেটের শ্রী চন্দ্রনাথ মহারাজ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টানঐক্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্রাচার্য্য, কেন্দ্রীয় কমিটি পূজা পরিষদের সহ সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রজত কান্ত ভট্রাচার্য্য, জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপিকা শ্যাম পুরকায়াস্থ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেটে মহানগরের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী,সিলেট মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ,বিজিবি,আনসার,ফায়ার ব্রিগেড এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তা বৃন্দ। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন,আতশবাজি,পটকা ফুটানোর সাথে পূজার কোন সর্ম্পক নেই। সুতরাং এটি বন্ধ হওয়া দরকার। এছাড়া ফেইসবুক পেইজকে টিভি নাম দিয়ে আজকাল লাইভ করার একটা প্রবনতা লক্ষ করা যায়। এরা চুন থেকে পান খসলে লাইভে এসে তা প্রচার করে। এতে গুজব সৃষ্টি হয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়। সরকারী অনুমোদন বিহীন এই সব তথাকথিত মোবাইল টিভির লাইভ সম্প্রচার বন্ধ রাখতে হবে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বিরোধী কোন কাজ কাউকে করতে দেয়া হবেনা।